ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৮/০৪/২০২৪ ৭:৫৭ এএম
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তিন শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ ৪ দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল শনিবার দুপুরে পরিষদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. মুছা। জেলাগুলো হলো চট্টগ্রাম, কঙবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি।

এদিকে এ ধর্মঘটকে বেআইনি ও শ্রম আইন পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে আহ্বানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠন। অন্যদিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারে মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে আজ বেলা আড়াইটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্মঘট নিরসন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার মো. আলআমিন।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মো. মুছা বলেন, চুয়েটে দুই ছাত্রের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে সমাধান হওয়ার পরও আমাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিরাপত্তা চাই। আমাদের চার দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা হলো, বিভিন্ন সময় জেলার বিভিন্ন পোস্ট ও স্টেশন থেকে লাইনম্যানসহ অনেক পরিবহন শ্রমিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। এমনকি যাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই তাদেরও মামলার আসামি করা হয়। কখনো গাড়ি পার্কিং, কখনো কাগজ না থাকা, এমন সব অহেতুক অজুহাতে ধরে নিয়ে যায়। পরিবহন শ্রমিকদের পকেটে থাকা টাকা কেড়ে নিয়েও তাদের হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়। শফি নামে আমাদের এক পরিবহন শ্রমিক নেতাসহ কয়েকজন এখনো জামিন পায়নি। দ্বিতীয় দফার বিষয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে চুয়েটের তিনজন শিক্ষার্থী একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়েন। এতে আমরা মর্মাহত। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টানা সড়ক অবরোধ ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় প্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠকের পরও সেসব সিদ্ধান্ত না মেনে সড়কে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

মো. মুছা বলেন, কঙবাজারে তিন মাস আগের একটি সড়ক দুর্ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের অন্য একটি বাস স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন এবং এই কাজে একজন স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার করা হয়। এই অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলছি, অবৈধ ও অনুমোদনহীন যানবাহনের জন্য সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সেসব অনুমোদনহীন যান চলাচল বন্ধ না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের যানবাহনের উপর দায় চাপাচ্ছে। অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি আমাদের চতুর্থ দফা।

গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কফিল উদ্দিন আহমদ, মৃণাল চৌধুরী, মোরশেদুল আলম কাদেরী, মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. আহসান উল্লাহ হাসান, নুরুল আবছার, নুরুল ইসলাম, জাফর উদ্দিন চৌধুরী (ভিপি জাফর), আবুল কাসেম, মো. শাহ আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহাজাহান, মো. শওকত আলী, আবুল কালাম আবু, জহিরুল ইসলাম, অলি আহমদ, মনছুর আলম, ফারুক খান, জাফর আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

পাঠকের মতামত

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...

মিয়ানমারে সশস্ত্র লড়াই: আরাকান আর্মির কাছে গুরুত্বহীন রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে নিজেদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায় এবং রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ...